Sunday, 07 September, 2025
Logo
বিজ্ঞাপন
যাবতীয় রড, সিমেন্ট, ইট, বালি ও কনা পাইকারি ও খুচরা বিক্রয় করা হয় ।। যোগাযোগ- মেসার্স হোসেন ব্রাদার্স/ জাকের ট্রেডার্স।। সোবান মঞ্জিল, বসুর হাট রোড, সিনেমা হলের পাশে, দাগনভুইয়া, ফেনী। প্রোপ্রাইটর জাকের হোসেন আলমগীর ০১৭১১-৯৬২৯২৫।। ০১৮৭১-৯৩০০০৮ মেসার্স কে আহাম্মদ এন্ড সন্স! পরিবেশক,বি এম, ডেল্টা ও ইউনি এল পি গ্যাস! যোগাযোগ- বসুরহাট রোড, সিনেমা হলের সামনে, দাগনভুইয়া, ফেনী- ০১৭১১-৩০৪৮৭৩, ০১৮৩৯-৩৯৭১৩০! দাগনভুইয়া ফিজিওথেরাপী সেন্টার, একটি আধুনিক বাত, ব্যথা, প্যারালাইসিস ও মুখ বাঁকা চিকিৎসা কেন্দ্র। ঠিকানা- সোবহান মঞ্জিল, বসুর হাট রোড। (সাবেক ঝর্না সিনেমা হলের পাশে)। দাগনভুইয়া, ফেনী। 01818-019684, 01721-910110 সর্বাধুনিক মেশিনে রোগ নির্নন ও বিশেষজ্ঞ ডক্টর চেম্বার।। ফেনী ল্যাব সিটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার।। এস এস কে রোড়, ফেনী।। 01711375108/ 01815507975

খিলগাঁওয়ে একটি প্লটকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা

স্টাফ রিপোর্টার:

প্রকাশিত: / বার পড়া হয়েছে


ছবি - সংগৃহীত

রাজধানীর খিলগাঁও থানাধীন ৮ নম্বর  সিএনজি স্ট্যান্ড এর ঠিক পাশেই  ৯ শতাংশ জায়গায় নিয়ে দীর্ঘদিন দ্বন্দ্ব ছিল । প্লটটিতে  দীর্ঘ  ২০ বছর     বসবাস করতেন শাহিনুর বেগম এবং তার ভাই হান্নান।  

প্লটের মালিক পক্ষ  গত আগস্টের ৩ তারিখে সকাল বেলা  দখল বুঝে নেয়।  যার পরিপ্রেক্ষিতে উক্ত প্লটে মালিকানা দাবি করা শাহিনুর বেগম ও হান্নান গং এর পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেন রাতের আধারে  দূর্বৃত্তকারীরা জায়গা  দখল করার নামে মারধর করে তালাবদ্ধ করে সন্ত্রাসীরা লুটতরাজ চালায়। 

পরিবারটি  অভিযোগ করেন বিএনপির  সভাপতি ইউনুস মৃধা নির্দেশে  বিএনপি নেতা মকবুল ও  যুবদল নেতা  জিয়া সহ প্রায় ৫০-৬০ জন নিয়ে জায়গাটির অবৈধ মালিক জিয়া  প্রকাশ্য দিবালোকে ঘটনাটি ঘটায়। তারা আরো অভিযোগ করেন পুলিশকে কল দেওয়ার পরও  ঘটনাস্থলে পুলিশ আসতে বিলম্ব করে। পরিবারটি বিচার ন্যায় বিচার চায়।

এদিকে হান্নান এর পরিবারের অভিযোগের পরিপেক্ষিতে খিলগাঁও থানা বিএনপি সভাপতি ইউনুস মৃধার কাছে দখলের বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনেছে এটি সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য মূলক এবং রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র । 

হান্নানের বড় ভাই মান্নান আমার বন্ধু ছিল, আমি দীর্ঘদিন তার  পাশে ছিলাম । তাদের জন্য প্লটের মালিক পরিচয়দানকারী জিয়া   সাথে কথা বলেছিলাম।

হান্নান পরিবার দীর্ঘদিন জায়গাটিতে বসবাস করছেন। যাতে  মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে   তাদের জ ন্য কিছু  ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করেন।  কিন্তু আমি এবং আমার দলের নেতাকর্মীদেরকে জড়িয়ে কি কারনে  একটি সুনামধন্য গণমাধ্যমে খবর প্রচার করলো বিষয়টা  রহস্যজনক  ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত। 

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য এই আওয়ামীপন্থী  হান্নান পরিবার  এলাকায় বিশৃঙ্খলা করতে চাচ্ছে। 
যদিও পরবর্তীতে গণমাধ্যমটি ঘটনার সত্যতা জানতে পেরে আমাদের নাম বাদ দিয়েছে।

হান্নান পরিবারের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপি নেতা মকবুল  বলেন এই হান্নান একজন তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ ছিল এলাকাবাসী। হান্নানের চরিত্রের কথা পুরা এলাকার মানুষ জানে  সে একজন দুশ্চরিত্র এবং লম্পট প্রকৃতির লোক। বর্তমানে সে জেলে আছে । শুধু এই প্লট না তারা একাধিক অসহায় মানুষের জমি দখল করে মানুষদের জিম্মি করে রেখেছিল। বর্তমানে তার পরিবারের সদস্যরা সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে  আবারো সেই আওয়ামী  ফ্যাসিস্ট  এলাকাতে বিচরণ করছে। মকবুল বলেন  ঘটনার দিন আমি এলাকাতে ছিলাম না।কিন্তু কি কারনে আমার দলীয় ভাইদেরকে জড়িয়ে  বিএনপির নামে বদনাম ছড়াচ্ছে এটা রহস্যজনক। বিএনপির নামে বদনাম ছড়িয়ে তারা আওয়ামী লীগের কোন এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে। 

পাল্টাপাল্টি অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে  এই জায়গা দখল নেয়া প্লটের  মালিক   পরিচয়দানকারী জিয়া বলেন জায়গাটি যখন কিনেছিলাম   তখন জানতাম হান্নান  ভাড়াটিয়া এবং উক্ত জায়গাতে দেখাশোনা করতো।  আমিও মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে  এই জায়গাটিতে  দীর্ঘদিন থাকতে দিয়েছি। আমরা এখন আমাদের জমিতে এপার্টমেন্ট করব।   হান্নান ও তার পরিবারদের সদস্যদের চলে যাওয়ার জন্য  অনুরোধ করি । 
আর তখনই তাদের আসল রূপ বের হয়। পরবর্তীতে আমি জানতে পারি হান্নান একজন তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী,  আওয়ামী লীগের ক্যাডার।  আমি যখনই জায়গাতে যাই  আমাকে একাধিকবার বার  মারধরও করে। এবং তারা বলে এই জায়গার থেকে চলে যাবে কিন্তু তাদের শর্ত বড় অঙ্কের টাকা দিতে হবে। বিষয়টি  আমি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের অবহিত করি।

ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার   পতনের পর হান্নান জেলে ।  এক প্রকার নিরুপায় হয়ে আমি আমার জায়গার দখল বুঝে নেই । তারা একটু সময় চেয়ে  তাদের মালামাল সরিয়ে নেয়  কিন্তু যাবার আগে তাদের লেবার দিয়ে সারারাত জায়গাটিতে টিনের চাল জানালা ভেঙে নিয়ে যায় এবং কিছু মালামাল রেখে  আমাকে বিপদে ফেলানোর জন্য তালা দিয়ে চলে যায়। পরবর্তীতে আমি জানতে পারি বিএনপির   কিছু নেতা কর্মীদেরকে জড়িয়ে খবর প্রচার করে। 

বিষয়টি ভিন্ন খাতে নেওয়ার পায়তারা করছে হান্নান পরিবার। যার একাধিক প্রমাণ আমার কাছে আছে। বিরোধপূর্ণ এই জায়গা নিয়ে  পক্ষে-বিপক্ষে অনেক কথাই সামনে আসছে।  ঘটনা বিশ্লেষণ করে বুঝা যায় ঘটনা নিয়ে একটি এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।   এলাকাবাসী আশঙ্কা করছে  যেকোন সময় বড় ধরনের দুই পক্ষের সংঘর্ষ  হানাহানি হয়ে  সাধারণ অধিবাসীদের  জানমালের ক্ষতি হতে পারে।

এ ব্যাপারে খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাথে মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও ওসি ফোন রিসিভ করেন নাই।

Share

আরো খবর


সর্বাধিক পঠিত